ডেস্ক নিউজ : কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে না। তবে নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এই মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠক শেষে প্রেস বিফ্রিং এ কথা বলেন তিনি। গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে এই বৈঠক হয়।
প্রসঙ্গত, এই দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ‘ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু করতে’ ইভিএম বাতিল ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছে বিএনপি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বার বার সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে মত আসছে।
সচিব বলেন, এ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের সমান সুযোগ থাকবে। আমরা আশা করি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আমাদের এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে অনেক সময় গুজব ছড়ানো হয়। এই দুই সিটি নির্বাচনে এগুলো কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও নির্বাচনের সময় দায়িত্বপালন সম্পর্কে বৈঠক করা হবে বলেও জানান তিনি।
বৈঠকের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে আসন্ন দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সফল করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেন, সংসদ নির্বাচন অতি সন্নিকটে। সেই সাথে ঢাকার পাশে সব থেকে বড় গাজীপুর ও খুলনায়ও নির্বাচন হবে। তাই নির্বাচনগুলোকে কমিশন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে সিইসি বলেন, বিগত দিনে আপনাদের সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন সফল হয়েছে। এই নির্বাচনও সফল হবে বলে আশা করছি। আপনাদের পরামর্শও প্রত্যাশা করছি। সিইসির সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ মে খুলনা ও গাজীপুর সিটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। আর ৩১টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪ জন।
পাঠকের মতামত